প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর ক্ষেত্রে কিওয়র্ড হচ্ছে এমন কিছু word বা শব্দ যাদের অর্থ ঐ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এ নির্দিষ্ট। এরা নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পাদন করে থাকে যা ঐ ভাষার স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত। ঐ সব কাজ ছাড়া এদেরকে আর অন্য কোন স্থানে ব্যবহার করা যায় না। কোন ইডেন্টিফায়ার (ভ্যারিয়েবল, ফাংশন ইত্যাদির নাম) হিসেবে এদেরকে ব্যবহার করা যায় না।
মোট কথা, কিওয়র্ড হল কোন ভাষার নির্দিষ্ট কিছু শব্দ যাদের কাজ ঐ ভাষার ব্যাকরণ অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত এবং যারা অপরিবর্তনীয়।
ANSI স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী C ভাষায় ৩২ টি কিওয়র্ড আছে। এই ৩২ টি কিওয়র্ড ও এদের ব্যবহারের ব্যাকরণ নিয়ে ANSI C ভাষাটি গঠিত। ৩২ টি কিওয়র্ড হলঃ
auto, break, case, char, const, continue, default, do, double, else, enum, extern, float, for, goto, if, int, long, register, return, short, signed, sizeof, static, struct, switch, typedef, union, unsigned, void, volatile, while
এদের বিস্তারিত কাজ ও ব্যবহার আমরা আস্তে আস্তে শিখে যাবো। তবে আপাতত এদের সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে এদেরকে কোন গ্রুপ বা ভিন্ন ভিন্ন ধরণে ভাগ করা হয় নি। তবে, এদের প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে এদেরকে নিচের শ্রেনীসমূহে ভাগ করা যায়। লক্ষ্য করুন যে একই কিওয়র্ড একাধিক শ্রেণীতে থাকতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে একই কিওয়র্ড একাধিক কাজও সম্পাদন করতে পারে।
1. মৌলিক ডেটা টাইপ সমূহঃ C এর পূর্ব নির্ধারিত ৫ টি ডেটা টাইপ ব্যবহারের জন্য এই ৫ টি কিওয়র্ড ব্যবহার করা হয়। এরা হলঃ
char, int, float, double, void
2. টাইপ লিমিট মডিফায়ার সমূহঃ এরা মৌলিক ডেটা টাইপ সমূহের ধারণক্ষমতায় কিছু পরিবর্তন আনে। এরা হচ্ছে,
short, long, signed, unsigned
3. স্টোরেজ ক্লাস স্পেসিফায়ারঃ এরা বিভিন্ন ডেটা টাইপের ডেটা সম্বলিত ভ্যারিয়েবল সমূহ মেশিনের কোন ধরনের মেমরিতে জমা থাকবে সেই বিষয়ক নির্দেশনা দান করে। এদের ব্যবহার নিত্যনৈমিত্তিক না হলেও, দ্রুতগতির ও স্বল্প মেমরী ব্যবহারকারী প্রোগ্রাম তৈরীতে এদের ব্যবহার অপরিহার্য। এরা হলঃ
auto, extern, register, static
4. এক্সেস মডিফায়ারঃ কোন ডেটার পরিবর্তন কিভাবে হবে বা আদৌ হবে কি না সেই সম্পর্কিত নির্দেশনা এরা দিয়ে থাকে। এদের ব্যবহারও মূলত অভিজ্ঞ প্রোগ্রামারদের হাতেই হয়ে থাকে। এরা হলঃ
const, volatile
5. স্ট্রাকচার সম্পর্কিতঃ C ডেটা স্ট্রাকচার সম্পর্কিত কিওয়র্ড। এরা হলঃ
struct, union
6. ইউজার ডিফাইন্ড ডেটা টাইপ সম্পর্কিতঃ এরা বিভিন্ন ইউজার ডিফাইন্ড ও এডভান্সড ডেটা টাইপ তৈরিকরণে সাহায্য করে। এরা হলঃ
typedef, enum
sizeof
সবগুলো কিওয়র্ডের আলাদা আলাদা সংক্ষিপ্ত কাজ ও ব্যবহার এর জন্য এখানে দেখতে পারেন।
তবে এদের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার কেবলমাত্র এদের নিয়মিত প্রয়োগের মাধ্যমেই শেখা সম্ভব, মুখস্থ করে নয়।
মোট কথা, কিওয়র্ড হল কোন ভাষার নির্দিষ্ট কিছু শব্দ যাদের কাজ ঐ ভাষার ব্যাকরণ অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত এবং যারা অপরিবর্তনীয়।
ANSI স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী C ভাষায় ৩২ টি কিওয়র্ড আছে। এই ৩২ টি কিওয়র্ড ও এদের ব্যবহারের ব্যাকরণ নিয়ে ANSI C ভাষাটি গঠিত। ৩২ টি কিওয়র্ড হলঃ
auto, break, case, char, const, continue, default, do, double, else, enum, extern, float, for, goto, if, int, long, register, return, short, signed, sizeof, static, struct, switch, typedef, union, unsigned, void, volatile, while
এদের বিস্তারিত কাজ ও ব্যবহার আমরা আস্তে আস্তে শিখে যাবো। তবে আপাতত এদের সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে এদেরকে কোন গ্রুপ বা ভিন্ন ভিন্ন ধরণে ভাগ করা হয় নি। তবে, এদের প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে এদেরকে নিচের শ্রেনীসমূহে ভাগ করা যায়। লক্ষ্য করুন যে একই কিওয়র্ড একাধিক শ্রেণীতে থাকতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে একই কিওয়র্ড একাধিক কাজও সম্পাদন করতে পারে।
- প্রোগ্রামের প্রবাহ নিয়ন্ত্রক (flow control): এই কিওয়র্ডগুলো কোন প্রোগ্রামে কোড এক্সেকিউশনের ধারা ও ধারাবাহিকতা নিয়ন্ত্রন করে। এদেরকে আবার তিনটি উপশ্রেণী তে বিভক্ত করা যায়ঃ
1. ব্রাঞ্চিং কিওয়র্ডঃ এরা হচ্ছে C এর মাল্টিপল সিলেকশন বা বহুমুখী পথ নির্বাচন সম্পর্কিত কিওয়র্ড। এরা নির্দিষ্ট শর্তের উপর নির্ভর করে কোন কোড এক্সেকিউট হবে, আর কোন কোড এক্সেকিউট হবে না, সেটা নির্ধারণ করে। এরা হলঃ if, else, switch, case, break, default
2. লুপিং কিওয়র্ডঃ এরা হচ্ছে C এর পুনরাবৃত্তকরন বা reparation কিওয়র্ড। এরা C এর বিভিন্ন কোড সেগমেন্টকে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বারবার এক্সেকিউট করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ, এই কোডগুলো লুপ তৈরীতে সহায়তা করে থাকে। এরা হলঃ for, while, do, break, continue
3. জাম্প কিওয়র্ডঃ এরা প্রোগ্রামের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রোগ্রাম এক্সেকিউশনের তাৎক্ষণিক স্থানান্তর ঘটায়। এই জন্যেই এদেরকে জাম্প কিওয়র্ড বলা হচ্ছে। এরা হলঃ return, goto
- ডেটা টাইপ সম্পর্কিতঃ C ডেটা টাইপ সমূহ প্রয়োগ ও তাদের রূপান্তরকরণ সম্পর্কিত কাজ এই কিওয়র্ডগুলোর সহায়তায় সম্পন্ন হয়। এদেরকে ৬ টি উপশ্রেণী তে বিভক্ত করা হয়েছেঃ
1. মৌলিক ডেটা টাইপ সমূহঃ C এর পূর্ব নির্ধারিত ৫ টি ডেটা টাইপ ব্যবহারের জন্য এই ৫ টি কিওয়র্ড ব্যবহার করা হয়। এরা হলঃ
char, int, float, double, void
2. টাইপ লিমিট মডিফায়ার সমূহঃ এরা মৌলিক ডেটা টাইপ সমূহের ধারণক্ষমতায় কিছু পরিবর্তন আনে। এরা হচ্ছে,
short, long, signed, unsigned
3. স্টোরেজ ক্লাস স্পেসিফায়ারঃ এরা বিভিন্ন ডেটা টাইপের ডেটা সম্বলিত ভ্যারিয়েবল সমূহ মেশিনের কোন ধরনের মেমরিতে জমা থাকবে সেই বিষয়ক নির্দেশনা দান করে। এদের ব্যবহার নিত্যনৈমিত্তিক না হলেও, দ্রুতগতির ও স্বল্প মেমরী ব্যবহারকারী প্রোগ্রাম তৈরীতে এদের ব্যবহার অপরিহার্য। এরা হলঃ
auto, extern, register, static
4. এক্সেস মডিফায়ারঃ কোন ডেটার পরিবর্তন কিভাবে হবে বা আদৌ হবে কি না সেই সম্পর্কিত নির্দেশনা এরা দিয়ে থাকে। এদের ব্যবহারও মূলত অভিজ্ঞ প্রোগ্রামারদের হাতেই হয়ে থাকে। এরা হলঃ
const, volatile
5. স্ট্রাকচার সম্পর্কিতঃ C ডেটা স্ট্রাকচার সম্পর্কিত কিওয়র্ড। এরা হলঃ
struct, union
6. ইউজার ডিফাইন্ড ডেটা টাইপ সম্পর্কিতঃ এরা বিভিন্ন ইউজার ডিফাইন্ড ও এডভান্সড ডেটা টাইপ তৈরিকরণে সাহায্য করে। এরা হলঃ
typedef, enum
- অপারেটঃ একটি মাত্র অপারেটর ই কিওয়র্ড হিসেবে বিদ্যমান। এটি কোন ডেটা টাইপ বা ভ্যারিয়েবল (যে কোন ধরণের) এর আকার বাইট (Byte) এককে হিসাব করে ব্যবহারকারী কে জানায়। এটি হলঃ
sizeof
সবগুলো কিওয়র্ডের আলাদা আলাদা সংক্ষিপ্ত কাজ ও ব্যবহার এর জন্য এখানে দেখতে পারেন।
তবে এদের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার কেবলমাত্র এদের নিয়মিত প্রয়োগের মাধ্যমেই শেখা সম্ভব, মুখস্থ করে নয়।
0 comments:
Post a Comment